ঢাকা , শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
প্রশাসনের সংস্কার না হলে প্রশ্নবিদ্ধ হবে নির্বাচন : ফয়জুল করিম ৭ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে বদলি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ বিচারপতি মানিক ও সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্ত্রীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা মেয়াদোত্তীর্ণ কনটেইনারে ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম বন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েই জাতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ-সালাহউদ্দিন গাজীপুরে ভাগ্নের হাতে মামা খুন নেপথ্যে মাদক বরিশালে ছাত্রদল-শিবির সংঘর্ষ, আহত ১৫ আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের জন্য সারা দেশে ল্যাবএইডের স্বাস্থ্যসেবা পিআইবি’র উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী ডিজিটাল সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন ধনী ব্যক্তিদের টার্গেট করতো সূচনা ফাউন্ডেশন হাজারীবাগে যুবকের মরদেহ উদ্ধার প্রতিদিন আসছে ১৩৮১ কোটি টাকার প্রবাসী আয় পিটার হাসের কোম্পানি থেকে ১ লাখ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার লোকসানে পঙ্গু হয়ে পড়ছে আলু চাষীরা শেরপুরে বিশ্বখ্যাত হারল্যান ব্র্যান্ড শো-রুম উদ্বোধন ফুলবাড়ীতে ইয়ামিন অনুমোদনহীন মরিচ ও হলুদের গুড়ার ছড়াছড়ি চাঁদপুরে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক শরীয়তপুর জেলা পরিষদের অভ্যন্তরীণ পুকুরে দেশীয় প্রজাতির পোনা মাছ অবমুক্ত পঞ্চগড়ে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

পিটার হাসের কোম্পানি থেকে ১ লাখ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার

  • আপলোড সময় : ১২-০৯-২০২৫ ১২:২৮:২৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৯-২০২৫ ১২:২৮:২৩ পূর্বাহ্ন
পিটার হাসের কোম্পানি থেকে ১ লাখ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ জ্বালানি আমদানির একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করেছে। এই চুক্তির আওতায় মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি আগামী ১৫ বছরে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে ১ লাখ কোটি টাকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ করবে। একসময় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা পিটার ডি হাস এখন এক্সিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর হিসেবে কর্মরত।
বহুজাতিক কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জিতে যোগ দেওয়ার আগে পিটার ডি হাস বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সালের মার্চে ঢাকার দূতাবাসের দায়িত্ব নেন। চাকরি ছেড়ে দেন ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই। চলতি মাসের শুরুতে পিটার ডি হাস বাংলাদেশে আসেন। এসেই তিনি প্রথমে যান কক্সবাজারের মহেশখালীতে অবস্থিত এক্সিলারেট এনার্জির ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে (এফএসআরইউ)। পরে ৩ সেপ্টেম্বর তিনি পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাদের মধ্যে বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে, সাড়ে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে ১ লাখ ৪ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা) এলএনজি সরবরাহ করবে এক্সিলারেট এনার্জি। আগামী বছর থেকে ১৫ বছরব্যাপী ২৩২ কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে মার্কিন এই বহুজাতিক কোম্পানি। আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয়েও মার্কিন এই কোম্পানিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ছাড়া বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই খাতের অন্যান্য পণ্য, বিশেষ করে ডিজেল আমদানির কথাও ভাবছে সরকার। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান। চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) মহাব্যবস্থাপক (এলএনজি ডিভিশন) প্রকৌশলী মো. শাহ আলম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার দেশের গ্যাস সংকট কমাতে এলএনজি আমদানির ওপর জোর দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবেই মার্কিন এই কোম্পানির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, চুক্তিটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশেষ বিধানের অধীনে করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আওতাভুক্ত একাধিক বিশেষ চুক্তি বাতিল করলেও, এই চুক্তিটি বহাল রাখা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে এটি চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষরিত হওয়ায় আইনগত বাধ্যবাধকতায় বাতিলের সুযোগ ছিল না।
চুক্তি অনুযায়ী, এক্সিলারেট এনার্জি ২০৪০ সাল পর্যন্ত বছরে শূন্য দশমিক ৮৫ থেকে এক মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) এলএনজি বাংলাদেশে সরবরাহ করবে। এর মধ্যে ২০২৬-২৭ সালে ২৮টি কার্গো আমদানি করা হবে। পরে ২০২৮ থেকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত বছরে ১৬টি করে কার্গো আসবে। এতে গড় বার্ষিক খরচ দাঁড়াবে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি ছাড়াও এক্সিলারেট স্পট মার্কেট থেকেও এলএনজি সরবরাহ করছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৬৩৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ১৬টি কার্গো এলএনজি সরবরাহ করেছে কোম্পানিটি। ভবিষ্যতে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বছরে ২০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বেশি স্পট কার্গো সরবরাহ করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
নীতিপত্রের সুপারিশে বলা হয়েছে, ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন জ্বালানি তেল আমদানির পরিকল্পনায় মার্কিন পরিশোধকদের অন্তর্ভুক্ত করতে সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) আমদানি প্রক্রিয়া ব্যবহার করা। মার্কিন গালফ কোস্ট রিফাইনারি থেকে ডিজেল এবং জ্বালানি তেলের জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বা টেন্ডার নিয়ে আলোচনা করা। বছরে মাত্র শূন্য দশমিক ২ মিলিয়ন টন মার্কিন উৎস থেকে প্রাপ্ত ডিজেল (প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার) অত্যন্ত উপকারী হবে। একইভাবে, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এলপিজি চাহিদা মেটাতে মার্কিন সরবরাহকারীদের সঙ্গে এলপিজি কার্গোর জন্য টেন্ডার শুরুর সুপারিশ করা হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ